নওগাঁ-৩ আসনে বিএনপি’র দুঃসময়ের নেতা ফজলে হুদা বাবুল


Ruhul Amin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ন / ১০০০
নওগাঁ-৩ আসনে বিএনপি’র দুঃসময়ের নেতা ফজলে হুদা বাবুল

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির যখন দুঃসময়, মামলা-হামলা, দমন-পীড়ন ও নানা ষড়যন্ত্রে অনেক নেতা-কর্মী যখন কার্যত মাঠ ছাড়া, তখন নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের চিত্রটা ছিল কিছুটা ভিন্ন। এ আসনে দলের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে একজন অভিভাবকের মতো সাহস জুগিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল।। যিনি শুরু থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে রাজনীতি করে আসছেন।

 

 

 

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময়ে যখন বিএনপি ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে, অসংখ্য মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানিতে এ আসনের নেতাকর্মীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ আর্থিক সংকটে জর্জরিত, কেউ আবার আইনি লড়াইয়ে ক্লান্ত। ঠিক সেই সময়ে বাবুল শুধু আইনি সহায়তা বা জামিনের ব্যবস্থা করেননি, নিয়মিত তাঁদের পরিবারকে সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিয়ে পাশে থেকেছেন। তাঁর এ মানবিক উদ্যোগে নেতাকর্মীরা পেয়েছেন নতুন করে সংগঠিত হওয়ার অনুপ্রেরণা।

শুধু রাজনীতিতেই নয়, শৈশব থেকেই জনাব ফজলে হুদা বাবুল বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তখন সালটা ছিল ১৯৮৭, তিনি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন, পড়াশোনায় মেধাবী হওয়ায় তিনি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। পরিবারের অঢেল সম্পত্তি না থাকলেও তার বিশালহৃদয় এবং জনদরদী মনোভাবের কাছে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অষ্টম শ্রেণিতে পাওয়া বৃত্তির সম্পূর্ণ টাকা দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী এবং গরীব-দু:খী মানুষদের মাঝে তিনি বিলিয়ে দেন। কিশোর বয়সেই তার এমন জনদরদীমূলক কাজগুলোর মাধ্যমে তিনি অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফুটাতে সক্ষম হন। সেই সময় হতে তিনি আরও উৎসাহ এবং অসহায়দের মুখে হাসি ফুটানোর কাজে মনের শান্তি খুজে পান। তারপর থেকে তিনি সেই কাজেই লিপ্ত, যা তাকে সাধারণ জনগণ এবং নেতা-কর্মীদের কাছে প্রাণের নেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, বিটিভির কয়েকবারের শ্রেষ্ঠ বিতর্কিক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় থেকেই জসিম উদ্দীন হলের বিতর্ক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাঁর যুক্তি ও বক্তব্যের জোর তাঁকে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, জাতীয় অঙ্গনেও পরিচিতি এনে দেয়।তিনি বিটিভির আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত বিতর্কিক।

তাছাড়াও জনাব ফজলে হুদা বাবুল কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নওগাঁ-৩ আসনের বদলগাছী উপজেলা বিএনপির কয়েকবারের সংগ্রামী সভাপতি। তিনি একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, যিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের টকশোতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। রাজনীতির মাঠে বাবুল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পথচলা শুরু করেন। ফ্যাসিস্ট শাসনের নানা নির্যাতন-অত্যাচারের শিকার হয়েও তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় থেকেছেন এবং নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন। এজন্য স্থানীয়ভাবে তিনি ‘প্রাণের নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, দলের কঠিন সময়ে যখন প্রায় অধিকাংশ নেতাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন বা নেতা-কর্মীদের থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। এর বিপরীতে, ফজলে হুদা বাবুল ঝুঁকি নিয়েও দলের কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে তাঁদের সাহস জুগিয়েছেন। এই ব্যক্তিগত সম্পৃক্তি তাঁর প্রতি নেতা-কর্মীদের আস্থা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

মহাদেবপুর উপজেলার এক প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন আমাদের কঠিন সময় ছিল, তখন বাবুল ভাই আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি শুধু নেতা নন, আমাদের একজন অভিভাবকের মতো ছিলেন।

বদলগাছী উপজেলার আরেক কর্মী বলেন, “আমরা বিপদে পড়লে অন্য কোনো নেতাকে কাছে পাইনি, কিন্তু বাবুল ভাই সবসময় আমাদের খোঁজ নিয়েছেন।”

ফজলে হুদা বাবুলের মানবিক ও নেতৃত্বগুণ তাঁকে নওগাঁ-৩ আসনে বিএনপি’র দুঃসময়ের নির্ভরযোগ্য ভরসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রাজনৈতিক দুঃসময়ে তিনি যেভাবে দলের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন, তা শুধু নেতৃত্ব নয়, মানবিক সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে স্থানীয় রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছে। তাই এমন একজন মহৎ নেতাকে বিএনপি নওগাঁ-৩ আসনের মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে, দেশের ও দশের উন্নয়নের জন্য একটি সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন নওগাঁ-৩ আসনের স্থানীয় বিএনপি।